Inhouse product
গমের লাল আটা (Red Wheat Flour)
রসোবালির গমের তৈরি লাল আটা স্বাস্থ্যসম্মত ও খুবই পুষ্টিকর। আমাদের আটা পরিপূর্ণ আঁশযুক্ত । প্রত্যন্ত অঞ্চলের চাষীদের কাছ থেকে সিজনের সময় দেশী জাতের গম সংগ্রহ করে , পরিষ্কার করে , রোদে শুকিয়ে, স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশে ,সর্বোচ্চ গুণগতমান নিশ্চিত করে ভাঙ্গানো হয় । পুষটিগুণকে প্রাধান্য দেয়া এই আটা ভুসি বা আঁশযুক্ত , পরিশোধিত নয়।
লাল আটার পুষ্টিগুণ:
গমের বাইরের লাল বা বাদামী বর্ণের যে আবরণ আছে তা অনেক পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ। বিশেষ করে এই আবরণে ম্যাগনেসিয়াম উপাদান বেশি থাকে। এটা এক ধরনের খনিজ উপাদান যা আমাদের দেহের কমবেশি প্রায় ৩০০ ধরনের এনজাইমের কার্য পরিচালনা করে। বাজারের সাদা আটার তুলনায় লাল আটায় প্রোটিন বেশি থাকে, ফ্যাট কম থাকে, আঁশের পরিমাণ পরিমাণ বেশি থাকে এবং ক্যালরি কম থাকে। এছাড়াও লাল আটায় ফলিক এসিড, জিংক, কপার, ফসফরাস ভিটামিন-এ, ভিটামিন-বি১,ভিটামিন-বি২,ভিটামিন-বি৩ থাকে।
৭৬ গ্রাম লাল আটায় পুষ্টিগুণ:
১. ক্যালরি ৫৬ গ্রাম ।
২. ফ্যাট ২.৯ গ্রাম।
৩. কার্বোহাইড্রেট ১৮.২ গ্রাম।
৪. খাদ্য আঁশ ৫.৬ গ্রাম।
৫. প্রোটিন ৮.৫ গ্রাম।
সুতরাং দেখা যায় সাদা আটার রুটি থেকে লাল আটার রুটির মধ্যে পুষ্টিগুন অনেক বেশি।
লাল আটার খাদ্য উপাদান:
আমরা জানি পুষ্টিকর খাবারে প্রায় ৫ ধরনের উপাদান থাকে। শর্করা, প্রোটিন, প্রয়োজনীয় ফ্যাট, ভিটামিন এবং মিনারেল। যেকোনো শস্যদানাতে এই উপাদানগুলো থাকে যেগুলো আমাদের দেহে শক্তি জুগিয়ে থাকে এবং কাজ করার ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। আমাদের লাল আটাতে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম, সেলেনিয়াম এবং ম্যাঙ্গানিজ থাকে।গমের তৈরি লাল আটা স্বাস্থ্যসম্মত ও খুবই পুষ্টিকর। কেননা গমের বাইরের লাল বা বাদামি আবরণে অনেক পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে। এই আবরণ ম্যাগনেশিয়াম নামক খাদ্য উপাদানে ভরপুর। কিন্তু খেতে সুস্বাদু হলেও রিফাইন বা পরিশোধিত সাদা আটার পুষ্টিগুণ অনেক কম। অত্যধিক পরিশোধনের ফলে দেহের জন্য উপকারী কিছু ভিটামিন ও মিনারেল নষ্ট হয়ে যায়। এছাড়া ময়দায় আঁশের পরিমাণ কম, এর গ্লাইসেমিক সূচকও বেশি।
লাল আটার উপকারিতা:
. লাল আটার অদ্রবণীয় খাদ্য আঁশ রক্তের কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।
. লাল আটায় রয়েছে থায়ামিন যা স্নায়ুতন্ত্রের সুস্থতা রক্ষা করে। (হাত ও পায়ের নার্ভ সচল রাখে)।
. লাল আটা আঁশ রক্তে ক্ষতিকারক ফ্যাট কমায় ও উপকারি ফ্যাট বাড়ায়।
. লাল আটা ক্ষুধা প্রশমিত করে ও অতিরিক্ত ওজন কমায়।
. ডায়াবেটিস রোগী ও স্থুল রোগীর রক্তে চিনি ও শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে।
. লাল আটায় প্রচুর ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট থাকায় দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
. লাল আটায় লিগনান নামক এক ধরনের উপাদান রয়েছে, যা ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
. লাল আটা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।
. পরির্পূণ পুষ্টি সমৃদ্ধ আঁশযুক্ত গমের আটা সুস্বাস্থের জন্য অপরির্হায।
সাদা আটায় খাদ্য আঁশের পরিমাণ কম থাকে। তবে ভূসিসমেত লাল আটায় অনেক আঁশ থাকে। তাই লাল আটার রুটি খাওয়ার পর রক্তের গ্লুকোজ ধীরে ধীরে বাড়ে। তাই হৃদরোগ প্রতিরোধে, ওজন কমাতে, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে লাল আটার জুড়ি নেই।
সংরক্ষণ পদ্ধতি:
যে কোনো শুকনা খাবার বায়ুরোধক কৌটায় রাখলে রান্নাঘর যেমন গোছানো পরিপাটি থাকবে, তেমনি খাবার দীর্ঘদিন ভালো থাকবে।
আটা, ময়দার ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। প্লাস্টিক কিংবা কাচের তৈরি বায়ুরোধক কৌটায় রাখা যাবে। বিশেষ করে আটা ও ময়দায় পোকা হয়ে যাওয়া সবচাইতে সাধারণ সমস্যা।
আর বায়ুরোধক কৌটায় রাখলে প্রায় ১০ মাস পর্যন্ত আটা, ময়দা এই সমস্যা থেকে সুরক্ষিত থাকবে ইনশাআল্লাহ।
যদি সুস্থ থাকতে চান তাহলে নিয়োমিত বিশুদ্ধ খাবার খান।
বিশুদ্ধতা মানেই সুস্থতা
আর সুস্থতা মানেই রসোবালি।