Inhouse product
সরিষা ফুলের মধু - Mustard flower honey
মধু হল মহান সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত প্রাকৃতিক এ্যান্টিবায়োটিক । যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতাকে বহুগুণে বাড়িয়ে দেয় ৷ মধুতে বিদ্যমান প্রাকৃতিক গ্লুকোজ এবং ফ্রুক্টোজ আমাদের শরীরে তৎক্ষনাৎ এনার্জি যোগায় ৷ এছাড়া মধুতে রেয়েছে বিভিন্ন ধরণের ভিটামিন, অ্যামাইনো এসিড, খনিজ লবণ ইত্যাদি ।
মধুর গুনাগুন:
মধুর গুণ নিয়ে বলার কিছু নেই। কিন্তু বাজার থেকে আমরা যে মধু কিনি তা কি খাঁটি না ভেজাল সেটা কিন্তু আমরা কেউ জানিনা। মধুর মধ্যে ভেজাল হিসাবে পানি, চিনি ও আরো কিছু রাসায়নিক উপাদন মেশানো হয়,যা আমাদের জন্য স্বাস্থ্যকর নাও হতে পারে।
মধু মানুষের জন্য আল্লাহ প্রদত্ত এক অপূর্ব নেয়ামত। স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং যাবতীয় রোগ নিরাময়ে মধুর গুণ অপরিসীম। রাসূলুল্লাহ (সা.) একে ‘খাইরুদ্দাওয়া’ বা মহৌষধ বলেছেন। আয়ুর্বেদ এবং ইউনানি চিকিৎসা শাস্ত্রেও মধুকে বলা হয় মহৌষধ।
মধু সংগ্রহ :
বাংলাদেশে সরিষা ফুলের মধু সংগ্রহের সময় সাধারণত নভেম্বর থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত। মাঠে যখন প্রচুর পরিমাণে সরিষা ফুল ফুটতে শুরু করে তখন মৌ চাষিরা তাদের মৌ বাক্স গুলো সরিষার ক্ষেতের পাশে স্থাপন করে। তারপর ফুল বৃদ্ধি হওয়ার সাথে সাথেই মৌমাছিরা ওই এলাকা থেকে মধু সংগ্রহ করে তাদের মৌ বাক্সে জমা রাখে। তখন চাষিরা মধুর বক্সে জমা হওয়া মধু বক্স থেকে সংগ্রহ করে।
সরিষা ফুলের মধুর উপকারিতা :
১.শক্তির ভালো উৎস। মধু দেহে তাপ ও শক্তি জুগিয়ে শরীরকে সুস্থ রাখে।
২. মধুতে যে শর্করা থাকে, তা সহজেই হজম হয়। পেটরোগা মানুষের জন্য মধু বিশেষ উপকারী।
৩. মধুতে রয়েছে ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স। এটি ডায়রিয়া ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। ১ চা–চামচ খাঁটি মধু ভোরবেলা পান করলে কোষ্ঠবদ্ধতা এবং অম্লত্ব দূর হয়।
৪.মধু রক্তের হিমোগ্লোবিন গঠনে সহায়তা করে বলে এটি রক্তশূন্যতায় বেশ ফলদায়ক।
৫. ফুসফুসের যাবতীয় রোগে মধু উপকারী। যদি একজন অ্যাজমা (শ্বাসকষ্ট) রোগীর নাকের কাছে মধু ধরে শ্বাস টেনে নেওয়া হয়, তাহলে সে স্বাভাবিক এবং গভীরভাবে শ্বাস টেনে নিতে পারবে। অনেকে মনে করে, এক বছরের পুরোনো মধু শ্বাসকষ্টের রোগীদের জন্য বেশ ভালো।
৬. চোখের জন্য ভালো। গাজরের রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে দৃষ্টিশক্তি বাড়ে।
৭. মধুতে নেই কোনো চর্বি। পেট পরিষ্কার করে, চর্বি কমায়, ফলে ওজন কমে।
৮. মধু শরীরের রোগ প্রতিরোধশক্তি বাড়ায় এবং শরীরের ভেতরে এবং বাইরে যেকোনো ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ প্রতিহত করার ক্ষমতাও জোগান দেয়। মধুতে আছে একধরনের ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধকারী উপাদান, যা অনাকাঙ্ক্ষিত সংক্রমণ থেকে দেহকে রক্ষা করে।
সরিষা ফুলে:র মধু চেনার উপায়
১। এই মধুর সব থেকে বড় গুন ঠাণ্ডায় এটি পরিপূর্ণভাবে জমে যায়।
২। অনেকদিন ধরে জমে থাকার কারণে সাদা রঙের হয়ে যায়।
৩। এই মধুর ঘ্রাণ সরিষার মতই হয়।
৪। স্বাদে একটু ঝাঁঝালো হয়।
৫। ঘনত্ব ঘন অথবা পাতলা যাই হোক সারাবছর এই মধু জমে থাকে।
৬। সংগ্রহ করার সময় এতে ফেনা হতে দেখা যায়।
৭। সরিষা ফুলের মধু দেখতে হালকা অ্যাম্বার রঙের হয়ে থাকে।
মধু সংরক্ষণের নিয়ম:
পাত্রের মুখ ভালো ভাবে বন্ধ করে রাখা। পাত্র সঠিকভাবে বন্ধ করা না হলে মধুতে পোকা মাকড় সহ ধুলা বালি পড়তে পারে অথবা ফাঙ্গাস জন্মাতে পারে। মধু যদি বাতাসে খোলা অবস্থায় রাখা হয় তাহলে তা দুর্গন্ধ ও আর্দ্রতা শোষণ করে। এতে মধু নষ্ট হতে পারে অথবা এর গুনাগুন, স্বাদ, গন্ধ ও কালারের পরিবর্তন বা মান কমে যেতে পারে। আবার মধু সংরক্ষণের জন্য শুকনো বায়ুরোধী কাচের পাত্র ব্যবহার করা সবচেয়ে ভালো। নন-ফুড গ্রেড প্লাস্টিক অথবা ধাতব পাত্র ব্যবহার করা যাবে না।
যদি সুস্থ থাকতে চান তাহলে নিয়োমিত বিশুদ্ধ খাবার খান।
বিশুদ্ধতা মানেই সুস্থতা
আর সুস্থতা মানেই রসোবালি।