Inhouse product
হিমসাগর আম
হিমসাগর পশ্চিমবঙ্গের একটি বিখ্যাত আম। এছাড়া বাংলাদেশের মেহেরপুর, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও সাতক্ষীরা জেলাতেও এই আমের চাষ হয়। পরিপক্ক হিমসাগর আমের গড় ওজন প্রায় ২০০-২৫০ গ্রাম হয় যা কেজিতে ৪-৬ ধরে। কহিমসাগর সাধারণত গড়ে ৮ দশমিক ৬৯ সেন্টিমিটার দীর্ঘ হয়ে থাকে। ফলটির প্রস্থ ৭ দশমিক ৫ সেন্টিমিটার এবং উচ্চতা ৬ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়। হিমসাগরের খোসা পাতলা। আঁশবিহীন আমটির শাঁস হলুদাভ হয়। এই আমের মিষ্টি সুগন্ধ ও স্বাদ পৃথিবীর অন্যান্য আমের থেকে ভিন্ন। তাই সারা পৃথিবীতে স্বাদ ও গন্ধের জন্য এই আম বাণিজ্যিক ভাবে বহুল পরিমানে চাষ করা হয়। হিমসাগর আম এতোই জনপ্রিয় যে , এই আমকে আমের রাজা বলা হয়। পরিপক্ক হিমসাগর আমের রং হালকা সবুজ। পাকার পরও সবুজ থেকে যায়। এই আমের ভিতরের রং হলুদ ও কমলা এবং কোন আঁশ নেই। হিমসাগর খুবই উৎকৃষ্ট স্বাদের সুগন্ধযুক্ত আম। শাঁস নরম এবং আঁশবিহীন। শাঁস কমলা রঙের। গাছে পাকা আমের বোটার কাছে অবশ্যই ঘ্রাণ থাকবে।
মসৃণ ত্বক ও পাতলা খোসা বিশিষ্ট এই আম এর মিষ্টতার পরিমাণ শতকরা ৮.৮৪ ভাগ। পরিপক্ক আম গাছ থেকে সংগ্রহের পর সঠিকভাবে সংরক্ষণ করলে প্রায় ৮ দিন পর্যন্ত ভালো ভাবে রাখা যায়। আমের বোটা তুলনামূলক শক্ত হওয়ায় ঝোড়ো পরিবেশেও বেশ ক্ষাপ খাইয়ে নিতে পারে। ফলে ক্ষয়ক্ষতি একটু কম হয়।
হিমসাগর আম জুন মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে পাকতে শুরু করে এবং পুরো জুন মাস বাজারে পাওয়া যায়। হিমসাগর জাতটি আশু বলা যেতে পারে; পাশাপাশি মধ্য মৌসুমি জাতের আম হিসেবেও গণ্য করা যায় একে।
সকল মৌসুমি ফল আল্লাহ তা’আলার এক অশেষ নিয়ামত। শুধু স্বাদেই নয় পুষ্টিমানেও এই ফলগুলো অনন্য। তাই হাইব্রিড এর এই যুগে মৌসুমি ফল গ্রহণের ক্ষেত্রে সচেষ্ট হওয়া উত্তম। আর সেই সাথে বিশ্বস্ত জায়গা থেকেও ফল কেনা আবশ্যক।
যদি সুস্থ থাকতে চান তাহলে নিয়োমিত বিশুদ্ধ খাবার খান।
বিশুদ্ধতা মানেই সুস্থতা
আর সুস্থতা মানেই রসোবালি।