Inhouse product
খীরসাপাত আম
খিরপাত আম উন্নতজাতের আমের মধ্যে অন্যতম। জুন মাসের শুরু থেকেই এই আম পাকতে শুরু করে। আমটি আকারে গোলাকার আকৃতিতে মাঝারি। আমটি লম্বায় প্রায় ৮ সে.মি., প্রস্থে প্রায় ৭ সে.মি. ওজনে প্রায় ২৬৪ গ্রাম মতো হয়। খিরসাপাত আমের বোঁটা বেশ মোটা এবং শক্ত। ত্বক মসৃণ, পাকলে বাইরের ঊর্ধ্বাংশ অর্থাৎ বোঁটার আশপাশে হলুদ রং ধারণ করে। আমের মধ্যাংশ থেকে নিম্নাংশ হালকা সবুজ। এর খাবার উপযোগী অংশ শতকরা ৬৭ দশমিক ২ ভাগ। আঁশবিহীন আমটির শাঁস হলুদাভ। ফলটি সুগন্ধযুক্ত, রসালো ও অত্যন্ত মিষ্টি স্বাদের। মিষ্টি সুগন্ধ ও স্বাদের জন্য জনপ্রিয়তার দিক থেকে এ আমের স্থান শীর্ষে।
জুন মাসের ৭ থেকে ৩০ তারিখ পর্যন্ত খিরসাপাত আমের আসল সময়। গাছ থেকে সংগ্রহের পর আমটি ছয় থেকে আট দিন পর্যন্ত ঘরে রাখা যায়। খিরসাপাত আমের ফলন খুব ভালো। চাহিদা থাকায় আমটি অত্যন্ত বাণিজ্যসফল ও । চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সর্বত্র, বিশেষ করে শিবগঞ্জ উপজেলায় সর্বাধিক খিরসাপাত আম বেশি হয়। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় ৩ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে প্রতিবছর ৩৫ হাজার টন খিরসাপাত আম উৎপদন হয়। এখানকার বাগানে উৎপাদিত খিরসাপাত গুণে ও মানে সর্বোৎকৃষ্ট। চাঁপাইনবাবগঞ্জ ব্যতীত রাজশাহী, নাটোর, দিনাজপুর, বগুড়া ও নওগাঁ অঞ্চলে খিরসাপাত আমের আবাদ হয়ে থাকে। তবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ এর পরেই খিরসাপাত উৎপাদনে রাজশাহীর স্থান অগ্রগণ্য।
যদি সুস্থ থাকতে চান তাহলে নিয়োমিত বিশুদ্ধ খাবার খান।
বিশুদ্ধতা মানেই সুস্থতা
আর সুস্থতা মানেই রসোবালি।